প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে যারা বিএমইটি স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে এই স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে এটা রেজিস্ট্রেশন করা যাবে বলে আপনারা অনলাইন সার্ভিস বাদ দিয়ে ঘরে বসে বিএমইটি স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন করে নিন। এই স্মার্ট কার্ড কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তার সম্পর্কিত তথ্য গুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেব।
যেসকল কর্মী বিদেশে গিয়েছেন অথবা যাবেন বলে ঠিক করেছেন তাদের জন্য বিএমইটি স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন করাটা অত্যন্ত জরুরী। কারণ এর মাধ্যমে আপনি বিদেশে গেলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। তাই সরকারিভাবে এবং অনুমোদন নিয়ে আপনারা যখন বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তখন অবশ্যই বিএমইটি স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ে এটার কপি সংগ্রহ করবেন। নিচে আপনাদের জন্য বিএমইটি স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো।
আপনারা যখন এই স্মার্ট কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া জানতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে বলব যে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে আমি প্রবাসী লিখে একটিবার সার্চ করুন। তাহলেই অনলাইন ভিত্তিক প্লেস্টোরের মাধ্যমে আপনারা আমি প্রবাসী নামক একটি সফটওয়্যার সেখানে দেখতে পারবেন এবং সেটা ডাউনলোড করে নিয়ে ইন্সটল করে নিবেন।
ইনস্টল করা হয়ে গেলে সর্ব প্রথমে আপনারা সেই সফটওয়্যারে প্রবেশ করবেন এবং এখানে প্রবেশ করলে বিদেশ ভ্রমণে আগ্রহী প্রবেশকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন এর জন্য বিএনইটি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে কোভিন ভ্যাকসিনেশন এর অনুমোদন প্রয়োজন। তাই আপনি কোভিড ভ্যাকসিনেশন নিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে সঠিক তথ্য আপনাকে প্রদান করতে হবে এবং এটি প্রদান করার ক্ষেত্রে যে সকল তথ্য লাগবে তা নিচে জানিয়ে দেওয়া হলো।
আপনারা যখন পরবর্তী অপশনটিতে ক্লিক করবেন তখন আপনাদের থেকে মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল এড্রেস চাওয়া হবে। আপনি ঠিক যে দেশে বসবাস করেন সেই দেশের কোড ব্যবহার করে মোবাইল নাম্বার প্রদান করবেন এবং পরবর্তী পেজে চলে যাবেন। পরবর্তী পেজে গেলে আপনাকে সেখানে দেশ নির্বাচন করার কথা বলবে এবং নিয়ম অনুসরণ করে আপনি কমপক্ষে তিনটি দেশ নির্বাচন করতে পারবেন। সেখানে যদি আপনাদের দেশ নির্বাচন করা হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী পেজে চলে যাবেন অথবা দেশ খুঁজে না পেলে অন্যান্য দেশসমূহ অপশনে ক্লিক করবেন। পরবর্তী পেজে চলে গিয়ে কোন বিষয়ে আপনার কারিগরি দক্ষতা আছে এ বিষয়ে তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিভিন্ন পেশার কথা সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
আপনি যে পেশায় কর্মরত একজন মানুষ সে কর্মের কথা উল্লেখ করবেন এবং সেখানে যদি অন্যান্য দক্ষতার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা নির্বাচন করতে পারবেন। পেশা নির্বাচন করার পর আপনারা যখন পরবর্তী পেজে যেতে পারছেন তখন সেখানে আপনাকে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এই তথ্যের ভেতরে আপনি পুরুষ নাকি মহিলা তা নির্বাচন করবেন। এরপরে আপনাকে সঠিকভাবে আপনার বয়স নির্বাচন করতে হবে এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার নাম উল্লেখ করতে হবে। আপনি বর্তমানে বিদেশে কর্মরত আছেন কিনা সে বিষয়ে তথ্য প্রদান করবেন এবং কেউ যদি যাবেন বলে ঠিক করে থাকেন তাহলে সেখানে না অপশন নির্বাচন করবেন।
এরপরে আপনার বিএমইটি বা স্মার্ট কার্ড আছে কিনা সেটা সঠিকভাবে প্রদান করবেন যাতে ওয়েবসাইট সঠিকভাবে প্রত্যেকটি তথ্য বুঝতে পারে। এরপরে আপনি যখন পরবর্তী পেজে যাবেন তখন বৈধ পথে বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড থাকার বিষয়ে আপনাদেরকে ঠিক আছে অপশনটিতে ক্লিক করার কথা বলবেন। এরপরে আপনারা যখন পরবর্তী পেয়ে যাবেন তখন নতুন ইন্টারফেস থেকে আবেদন প্রক্রিয়ার শুরু নামক যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার শুরু হবে এমন অপশনটিতে ক্লিক করলেই রেজিস্ট্রেশনের আসল কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং এখানে ধাপে ধাপে আপনাকে তথ্য ইনপুট করতে হবে।
আপনি যখন আবেদন প্রক্রিয়ায় চলে যাবেন তখন আপনার পাসপোর্টকে স্ক্যান করতে বলা হবে এবং পাসপোর্ট আপনারা স্ক্যানার এর মাধ্যমে অথবা মোবাইল ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে স্ক্যান করে পরবর্তী পেজে চলে যাবেন। এখানে আপনার নাম এবং পাসপোর্ট নাম্বার উল্লেখ করার পাশাপাশি পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ এবং পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। সেই সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি আপনার জন্মস্থান উল্লেখ করতে হবে।
এখন আপনি যখন পরবর্তী পেজে যেতে পারছেন তখন আপনাকে পাসপোর্ট এর তথ্য থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত তথ্য এবং যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার নয় মিনিট তথ্য এবং জরুরি যোগাযোগের তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি আপনি শিক্ষাগত যোগ্যতার থেকে কতদূর পড়াশোনা করেছেন সে বিষয়গুলো উল্লেখ করবেন।
এভাবে আপনারা ধাপে ধাপে ভাষাগত দক্ষতা উল্লেখ করবেন এবং ভাষাগত দক্ষতা উল্লেখ করার পাশাপাশি পরবর্তী পেজে যাওয়ার জন্য পরবর্তী অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এভাবে আপনারা প্রত্যেকে তথ্য ইনপুট করার পর এবং প্রত্যেকটি তথ্য যদি সঠিকভাবে থেকে থাকে তাহলে আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী bmet স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়ে যাবে।
আপনারা তখন এই স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এবং পিডিএফ ফাইল আকারে সংগ্রহ করার এটার অপশন রয়েছে। যদিও আবেদন প্রক্রিয়া আপনাদেরকে খুব সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি তারপরও কোথাও যদি আপনারা বুঝতে অসুবিধা মনে করেন তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।