একটা আইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ খোলা যায়

একটা আইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ খোলা যায়

বর্তমান সময়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা মাধ্যম এবং খুব সহজেই লেনদেন করা যায় বলে আমরা এটার মাধ্যমে পরিচিত ব্যক্তি অথবা বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে টাকা লেনদেন করে থাকি। তারপর বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অথবা পেমেন্ট প্রদান করার ক্ষেত্রে আমরা এই মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি বলে দৈনন্দিন জীবনে বিকাশের প্রয়োজনীয়তা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আপনার বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রদান করছি এবং আইডি কার্ডের সঙ্গে বিকাশ একাউন্ট খোলার বিষয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে আজকের এই প্রশ্নের মাধ্যমে আমরা এই তথ্য প্রদান করব। তাই অনেকেই হয়তো জানতে চাইছেন একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে এবং তাদের প্রশ্নের উত্তরে আমরা আজকে এই তথ্যের মাধ্যমে যুক্তিসহকারে প্রত্যেকটির বিষয় জানিয়ে দেব।

সাধারণত একটি আইডি কার্ড দিয়ে অনেকগুলো সিম কার্ড কেনা গেল সেই সিম কার্ডে আলাদা ভাবে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আলাদা আলাদা আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ আপনি বিকাশ একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে একটি একাউন্ট এর জন্য একটি আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করতে পারবেন এবং সেই আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করে অন্য নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে না। তাই এখানে আমরা বুঝতে পারলাম যে বিকাশ একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে এবং প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অবশ্যই এটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ব্যবহার করতে হবে।

বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কিত তথ্যগুলো আমরা আপনাদের মাঝে প্রদান করে থাকি বলে আপনার এগুলো জানতে পারেন এবং দৈনন্দিন জীবনের লেনদেনের ক্ষেত্রে কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে অথবা বিকাশ একাউন্টের বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট সেটিংস ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা আপনাদের সাহায্য করে থাকি। আপনি যখন বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাইবেন তখন অবশ্যই সেই একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নিজের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে খুলবেন অথবা পরিবারের সদস্যদের আইডি কার্ড দিয়ে করাটাই সবচেয়ে ভালো হবে।

তবে আপনি কখনোই অপরিচিত ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করে অথবা বন্ধুদের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করে এই অ্যাকাউন্ট খুলবেন না। কারণ আপনার অ্যাকাউন্ট আপনার সম্পদ এবং এখানে আপনি টাকা লেনদেন করে থাকেন বলেই টাকাগুলো আপনার একান্তই ব্যক্তিগত হওয়ার কারণে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।

তাই আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে অথবা বিকাশ একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অ্যাপসের মাধ্যমে যে একাউন্ট খোলার সিস্টেম চালু হয়েছে তাতে করে একটি আইডি কার্ডের ছবি যখন তুলে দেবেন তখন সেই আইডি কার্ড দিয়ে আপনার একাউন্ট খুলতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আইডি কার্ডের নাম্বার এবং অন্যান্য তথ্য অনন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে এবং বিকাশের সার্ভারে তার সংরক্ষিত থাকে বলে আপনারা এটা পরবর্তীতে ব্যবহার করে যে অন্যান্য অ্যাকাউন্ট খুলবেন অথবা অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেই সুযোগ আপনাদেরকে বিকাশ কোম্পানি প্রদান করবে না।

তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা যেহেতু জেনে নিতে পারবেন একটি ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার অথবা একটি ভোটার আইডি কার্ড তথ্য ব্যবহার করে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে দেয় সেহেতু আপনারা অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে এমন একটি নাম্বার নির্বাচন করবেন যাতে করে পরবর্তীতে সেই নাম্বারের মাধ্যমে আপনারা লেনদেন করতে সক্ষম হন। দৈনন্দিন জীবনে লেনদেনের ক্ষেত্রে অথবা বিভিন্ন বিষয়ের পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে খুব দ্রুততার জন্য আমরা এই মোবাইল ব্যাংকিং এর সহায়তা গ্রহণ করে থাকে।

এখন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পিন নাম্বার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে এটা কখনোই কারো কাছে শেয়ার করবেন না এবং জরুরী ভিত্তিতে সেই পিন নাম্বার আপনারা যদি কারো অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল থেকে লগইন করেন তাহলে পরবর্তীতে অবশ্যই লগ আউট করে দিবেন এবং আপনার পিন নাম্বার পরিবর্তন করে নেবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *