আপনার কাছে যদি ভোটার আইডি কার্ড থাকে তাহলে সেই ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা সম্ভব। ভোটার আইডি কার্ড বের করার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তার ওপরে ফোকাস করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম অত্যন্ত সহজ একটি প্রক্রিয়া।
আমরা মনে করি যে আজকের এই পোস্ট যদি আপনারা একবার পড়তে পারেন তাহলে খুব সহজে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আপনার যে কোন কাজ যেমন করা সম্ভব হবে তেমনিভাবে এটা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করার সহজ হবে। ভোটার নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা নিচে খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো।
বাংলাদেশ এন আই ডি সার্ভিস এর যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত সকল কাজ করা হচ্ছে। আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইবেন অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে চাইবেন তখন আপনাকে https://services.nidw.gov.bd/ এই লিংক ব্যবহার করার বিষয়ে জানাবো।
এই লিংক এখান থেকে কপি করে নিয়ে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে যদি পেস্ট করেন এবং সার্চ করেন তাহলে আপনাদেরকে সরাসরি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হবে। এখানে প্রবেশ করতে পারলেই আপনাদের সামনে একটি হোমপেজ চলে আসবে এবং হোমপেজ থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার প্রসেসে যেতে হলে রেজিস্টার করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
আপনি যখন রেজিস্টার করুন অপশনে ক্লিক করলেন তখন আপনার সামনে একটি ফাঁকা পেজ চলে আসলো এবং সর্বপ্রথমে যে তথ্যটি আপনাকে প্রদান করা লাগবে সেটি হল আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার। এখানে চাইলে ভোটার তথ্য নিবন্ধনের স্লিপ এর নাম্বার প্রদান করেও কাজটি করা যাবে। তবে যাই হোক আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করার পরে জন্ম তারিখ সংক্রান্ত তথ্য আলাদা আলাদাভাবে প্রদান করুন। এরপরে নিচের যে ক্যাপশন কোড দিয়ে দেওয়া আছে সেটা মোবাইল ফোন থেকে করলে জুম ইন করুন এবং ভালোমতো বুঝে নিন। এরপরে ফাঁকা ঘরে আপনার সেই ক্যাপচা কোড বসিয়ে দিয়ে বহাল অপশনে ক্লিক করুন এবং পরবর্তী পেজে চলে যান।
পরবর্তী পেজে গেলে আপনার থেকে ভোটার আইডি কার্ডের নিয়ম অনুসরণ করে ঠিকানা তথ্য যাওয়া হবে। তথ্য নিবন্ধন করার সময় আপনার যে স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করা হয়েছিল সেই ঠিকানা সেখানে দিয়ে দিন এবং প্রত্যেকটি ঠিকানা অপশনের মাধ্যমে দিতে হবে। অপশনের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে বলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না এবং আপনাদের আলাদাভাবে কোন ঠিকানার নাম লিখা লাগবে না। ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য স্থানীয় পর্যায়ের পর্যন্ত দিয়ে আপনারা যখন পরবর্তী পেজে যাবেন তখন আপনাদেরকে একটি মোবাইল নাম্বার দেখানো হবে। মোবাইল নাম্বারটি যদি আপনার হয়ে থাকে এবং আপনি যদি এটা বর্তমান সময়েও ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই বার্তা পাঠান অপশনে ক্লিক করবেন।
এনআইডি সার্ভিস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনার ফোনে ১০৫ নাম্বার থেকে একটি এসএমএস যাবে এবং সেখানে একটি ছয় ডিজিটের otp কোড দেখানো হবে। সেই কোন ওয়েবসাইটে এনে ফাঁকা ঘরে প্রদান করতে হবে এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করতে হবে। যদি সেই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে নাম্বার পরিবর্তন করে এই ওটিপি এসএমএস নেওয়া সম্ভব।
চতুর্থ ধাপে আপনাদের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি অপেক্ষা করছে তার নাম হলো এনআইডি ওয়ালেট এর কাজ। এনআইডি ওয়ালেট সেখান থেকে আপনাদেরকে ডাউনলোড করার জন্য প্লে স্টোর এর লিংক প্রদান করা হবে এবং সেটা ডাউনলোড করে নেবেন। সেই সাথে সেখানে যে পেজ দেখানো হচ্ছে সেখানে কেউ আর কোড দেওয়া আছে এবং সেটা স্ক্রিনশট দিয়ে ক্রপ করে রেখে দেন।
এনআইডি ওয়ালেট ডাউনলোড হলে আপনারা ওয়েবসাইট মিনিমাইজ করুন এবং সফটওয়্যারটিতে প্রবেশ করুন। যার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করতে চাচ্ছেন তাকে অবশ্যই ক্যামেরার সামনে আনতে হবে এবং মুখমন্ডল সনাক্ত করাতে হবে। এনআইডি কোয়ালিটির এই কাজগুলো সম্পাদন করার পর ওয়েব সাইটে ফেরত আসলে ইউনিক ইউজার নেম সেট করতে হবে।
সেই সাথে পরবর্তীতে লগইন করার জন্য এমন একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করবেন যেটা কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। পাসওয়ার্ড সেট হয়ে গেলে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে নিচের দিকে গেলে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করা সম্ভব হচ্ছে।