নতুন আইডি কার্ড করার নিয়ম যদি আপনারা জানতে চান অথবা নতুন আইডি কার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে কি কি ধাপ অনুসরণ করতে হবে তা জানতে চান তাহলে আমরা আপনাদেরকে এই পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করব। দৈনন্দিন জীবনে ভোটার আইডি কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম হওয়ার কারণে আমরা চাইলেই এগুলো বয়স পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে আবেদন প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারি।
সাধারণত এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন সকল শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ এর কাছাকাছি চলে আসে এবং তারা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য নিবন্ধন করার জন্য যাবতীয় কাজগুলো করে থাকেন। কিন্তু পড়ালেখা করেন না অথবা তথ্য নিবন্ধন করার সময় নিবন্ধন করেননি এমন সকল ব্যক্তিরা বর্তমানের নিয়ম অনুসরণ করে অনলাইন এর মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য তথ্য নিবন্ধন করতে পারবে।
তাই আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে চাইবেন অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করার মধ্য দিয়ে সাহায্য করবো। নতুন আইডি কার্ড তৈরি করার নিয়ম হিসেবে আমরা আপনাদেরকে বর্তমান সময়ে সার্ভিস এনআইডি নামক যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করার কথা বলা হচ্ছে সেই ওয়েবসাইটে যেতে বলব। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর লিংক যদি জানতে চান তাহলে আপনারা অবশ্যই https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন এবং সেখানে গিয়ে আপনারা দ্বিতীয় নাম্বারে নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন নামক অপশন পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করলে আপনাদেরকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেই পেজে গিয়ে আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য তথ্য নিবন্ধন করার যে সকল ধাপগুলো অনুসরণ করবেন তার নিচে তুলে দেওয়া হল।
প্রথমত আপনারা নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন অপশনটিতে ক্লিক করলে পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট অনুযায়ী নাম ইংরেজিতে প্রদান করতে হবে। এরপর আপনার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত তথ্য তিনটি ধাপে প্রদান করার পরে সেখানের ক্যাপচা কোড পূরণ করবেন এবং পরবর্তী পেজে গিয়ে একটি মোবাইল নাম্বার চাওয়া হবে যেখানে আপনি আপনার সকল মোবাইল নাম্বার প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে এমন একটি মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে যে নাম্বারটি আপনারা সব সময় ব্যবহার করেন এবং এনআইডি সার্ভিসের নাম্বার অর্থাৎ ১০৫ থেকে এসএমএস আসলে সেটির মাধ্যমে আপনারা সকল তথ্য জানতে পারেন।
এই ভোটার আইডি কার্ড যারা তৈরি করেননি তারা এই রাগগুলো অনুসরণ করার পরে আপনাদেরকে পরবর্তীতে একটি অসম্পূর্ণ প্রোফাইল তৈরি করে দেওয়া হবে এবং সেখানে কোন ধরনের ছবি দেখানো হবে না। ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য নিবন্ধন করার জন্য আপনারা সেখানে আপনাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ঘরে নিজেদের পিতা মাতার নাম এবং অন্যান্য যে সকল তথ্য যা হবে সেগুলো বিস্তারিতভাবে প্রদান করবেন। এখানে সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলে অবশ্যই সেগুলো প্রদান করবেন এবং প্রত্যেকটি তথ্য যেন সঠিক হয় এবং পরবর্তীতে যাতে সংশোধন করার প্রয়োজন না হয় সে বিষয়টি আপনাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্যান্য তথ্যের অপশনে যখন যাবেন তখন আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো উল্লেখ করে সেই তথ্যগুলো প্রদান করা সম্পন্ন করুন।
যেহেতু নতুন নিবন্ধনের জন্য ২৩০ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সেহেতু এটা আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর সহায়তা গ্রহণ করে ওয়েবসাইটে টাকা ডিপোজিট করবেন। তারপরে আপনার আবেদন পত্রটি তৈরি করার জন্য যে সকল তথ্য প্রদান করা হয়েছে তার সামারি হিসেবে সেখানে দেখানো হবে এবং সেখানে যদি কোন ধরনের ভুল ভ্রান্তি না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আবেদনপত্র সাবমিট করে দেবেন। এরপরে আপনারা আবেদনপত্র পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন এবং সেটা আপনাদের স্থানীয় ইলেকশন কমিশনের অফিসে গিয়ে জমা দিলে তারা আবেদনপত্র গ্রহণ করবে এবং পরবর্তীতে আপনার থেকে ছবি এবং স্বাক্ষর গ্রহণ করার জন্য এসএমএস এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি তথ্য আপডেট করানো হবে।