জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হওয়ার কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ক্ষেত্রে আমরা পরিচয় প্রদান করার জন্য এটার অনুলিপি অথবা অরিজিনাল কপি প্রদর্শন করিয়ে থাকি। তাই আপনি যখন জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পেয়েছেন তখন অবশ্যই আপনার কর্মজীবনে প্রবেশ করার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট এর সঙ্গে প্রত্যেকটি তথ্যগত মিল থাকতে হবে। কোনভাবে যদি বুঝতে পারেন কোন তথ্যের গরম মিল রয়েছে অথবা নামের বানান বিষয়ক ভুল রয়েছে তাহলে অবশ্যই আপনারা তথ্যগুলো সংশোধন করার জন্য নিচের নিয়ম অনুসরণ করবেন। বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করা যাচ্ছে বলে আমরা এই শুভযোগ সুবিধা গুলো কাজে লাগাতে পারি এবং ঘরে বসেই কোন ধরনের দালালকে টাকা প্রদান না করে আমরা সংশোধন করে নিতে পারি।
যেহেতু আপনার ব্যক্তিগত পরিচিতির ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পর এনআইডি কার্ডের গুরুত্ব সবচাইতে বেশি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে এই জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করা হয় বলে আমরা এটাকে এনআইডি কার্ড হিসেবে চিনে থাকি এবং এই এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এটার অনুলিপি প্রদান করে থাকে। তাই আপনার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার অথবা জন্মনিবন্ধন সনদে যদি জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের মিল থাকে তাহলে সেটি কোন ব্যাপার নয়। কিন্তু কোনভাবে যদি অন্যান্য ক্ষেত্রে ভুল পরিলক্ষিত হয় অথবা কাউকে জিজ্ঞাসা করে সেই ভুল যদি সংশোধন করার যোগ্য হয় তাহলে অবশ্যই সেটি সংশোধন করে নিবেন।
আপনার এনআইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য বর্তমান সময়ে যে ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে অথবা যেখানে গিয়ে এই তথ্য সংশোধন করতে হবে তার লিংক হল https://services.nidw.gov.bd/ । এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন এবং সেখানে সর্বপ্রথমে আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার ও যার আইডি কার্ড তথ্য সংশোধন করবেন তার মুখমন্ডল দেখানোর মাধ্যমে একটা প্রোফাইল ওপেন করতে হবে। তাই অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে যে সকল তথ্য আপনাদের থেকে চাওয়া হবে সেগুলো প্রদান করার মাধ্যমে আপনারা সর্বপ্রথমে একটা প্রোফাইল ওপেন করুন এবং প্রোফাইলে প্রবেশ করে আপনারা সেখান থেকে তথ্য এডিট করা বা তথ্য সংশোধন করার আবেদন করতে পারবেন।
নিজস্ব প্রোফাইল থেকে বের হয়ে আসলে অবশ্যই login সম্পন্ন করতে হবে এবং সেখানে আপনার প্রোফাইলে তিন ধরনের তথ্য প্রদর্শন করানো হচ্ছে বলে আপনারা যে তথ্যের সংশোধন করতে চান তার ঘরে গিয়ে উপরের এডিট অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি কি ধরনের আবেদন করতে চান এবং কি কি তথ্য সংশোধন করতে চান তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে আবেদন ফিস যাচাই করার কথা বলবে এবং সেই আবেদন ফিশ দেখে নিয়ে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বারে টাকা ডিপোজিট করতে পারবেন। এভাবে আপনারা টাকা ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে তখন এই কাজগুলো করবেন এবং তথ্য সংশোধন করার জন্য যে সকল তথ্য সংশোধন করা প্রয়োজন তার ওপরে ক্লিক করলে সেখানে এডিট করা বা আপনার সংশোধিত তথ্য লেখার অপশন চলে আসবে।
তাহলে সঠিক তথ্য প্রদান করবেন এবং টাকা ডিপোজিট করতে হবে এবং এর মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করে আপনারা যখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন তাহলে আপনার আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে এই আবেদনপত্র আপনারা একটা সামারি দেখতে পারবেন এবং সেখানে প্রত্যেকটি তথ্যগত বিষয়গুলো যদি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আবেদনপত্র সাবমিট করে সেটা পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন। তবে অনলাইনের মাধ্যমে আপনাদেরকে এই আবেদনপত্র জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে না এবং এর ক্ষেত্রে আপনাদেরকে শুধু এসএমএস এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এসএমএসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যগুলো আপনাদেরকে আপডেট করা হবে এবং এটার তথ্য সংশোধন হয়েছে কিনা তা জানিয়ে দেওয়া হবে।