বর্তমান সময়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়ম অনুসরণ করে সকলকে ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি করতে হবে। তাই ইউনিক আইডি কার্ড সম্পর্কে অনেকেই অনেক তথ্য জেনে থাকলেও নতুন ভাবে আপনাদের মাঝে আমরা সেই তথ্য প্রদান করতে চলেছি। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে ইউনিক আইডি কার্ড কি এবং এটা তৈরি করার ক্ষেত্রে কি কি কাজ করতে হবে অথবা কি কি ধরনের কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে তা এই পোস্ট থেকে জেনে নিবেন।
শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি করার বিষয়ে আপনারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সকল তথ্য প্রদান করবেন অথবা যে সকল নিয়ম অনুসরণ করে এই কাজগুলো করতে হবে তাই এখান থেকে জেনে নিবেন। নিচে গিয়ে আপনারা ইউনিক আইডি কার্ড সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো দেখে নিন এবং এখান থেকে প্রত্যেকটি তথ্য জেনে নিতে পারলে আপনাদের জন্য এই আইডি কার্ড তৈরি করার বিষয়ে খুবই সহায়তা মূলক কাজ হবে।
ইউনিক আইডি কার্ড এমন একটি আইডি কার্ড যেটা আপনাদের ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করে তৈরি করে নিতে হবে। মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণী শিক্ষার্থীদের সকল তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে ইনপুট করে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট একটা নাম্বার প্রদান করে তাকে মৌলিকভাবে যাদের চিনতে সুবিধা হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে এবং কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রেণীতে কতজন ছেলে এবং কতজন মেয়ে আছে এ সকল তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি আপনাদের উদ্দেশ্যে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর আলাদা আলাদা তথ্য অনলাইন ভিত্তিক খুঁজে পাওয়া যাবে।
২০২২ সালের ১৭ই জানুয়ারি থেকে ইউনিক আইডি কার্ডের কাজ শুরু হয়েছে এবং সেই আইডি কার্ডের কাজগুলো আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এর আগে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টে আলোচনা করেছিলাম। অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা যখন ইউনিক আইডি কার্ডের তথ্যগুলো প্রদান করবেন তখন সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর এনআইডি কার্ডের মত স্মার্ট কার্ড আলাদাভাবে প্রদান করা হবে এবং এটি ব্যবহার করে পরবর্তীতে আপনারা ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য তথ্য নিবন্ধন করতে পারবেন। তাই স্মার্ট আইডি কার্ডের মত করে এনআইডি কার্ড অথবা অন্যান্য কার্ডের মতো করে আপনারা যখন শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি করবেন তখন কোন কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা এই পোস্ট থেকে জেনে নিবেন।
ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি করার ব্যাপারে চার পৃষ্ঠার ফরম আপনাদেরকে পূরণ করতে হবে এবং ১৭ জানুয়ারি থেকে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই তথ্য গ্রহণ করে সেগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কম্পিউটার অপারেটরকে প্রদান করা হচ্ছে। তাই আপনারা যখন চার পৃষ্ঠার এই সকল তথ্য প্রদান করবেন তখন শিক্ষার্থীর অবশ্যই ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করবেন।
যাদের হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে তাদেরকে সেটা ডিজিটাল করে নিতে হবে এবং ডিজিটাল করে নেওয়ার পরেই আপনাদেরকে এই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই এই স্বতন্ত্র পরিচয় পত্র তৈরি করার জন্য প্রত্যেকটি তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদান করবেন।
এই তথ্যগুলো প্রদান করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তাহলে প্রত্যেকের আইডি কার্ড সঠিকভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে। তাই ইউনিক আইডি কার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে রঙিন পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি প্রদান করতে হবে এবং ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা রাখতে হবে। এছাড়াও অবশ্যই মেয়েদেরকে দুই চোখ এবং দুই কান খোলা রাখতে হবে এবং যাতে সেটা দেখা যায় সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।
ইউনিক আইডি কার্ডের বিষয়ে শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি এবং রক্তের গ্রুপ এর তথ্য প্রদান করতে হবে। পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড থেকে শুরু করে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং অন্যান্য তথ্য সংযোজন করে আবেদন করে সে আবেদনপত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিলে আপনাদের আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।