যেহেতু হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার দিন শেষ হয়েছে সেহেতু অনলাইনের মাধ্যমে আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু সুবিধার কথা যদি আমরা উল্লেখ করি তাহলে বলব যে আপনি নিজের তথ্য নিজে নিবন্ধন করছেন এবং যথাযথ তথ্য ও প্রমাণের সাপেক্ষে করছেন বলে এখানে তথ্যগত ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ আপনার থেকে সঠিক তথ্য আহরণ করে নির্দিষ্ট একটা পরিসংখ্যান নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রকাশ করতে পারবে। নিবন্ধন বহিতে তথ্যগুলো নিবন্ধন করার পরে যখন এগুলো নষ্ট হয়ে যায় অথবা হারিয়ে যাই তখন সেই সকল মানুষের তথ্যগুলো খুঁজে পাওয়া ঝামেলা পণ্য ব্যাপার বলে অনলাইনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে তথ্যগুলো নিবন্ধন করলেই সবচাইতে ভালো হয়। এতে করে ডাটাবেজে প্রবেশ করে খুব সহজে যেমন জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য স্থানীয় সরকার বিভাগ খুঁজে পাবে তেমনিভাবে আপনিও নিজের তথ্যগুলো যাচাই করতে পারবেন।
তাই জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনারা যখন অনলাইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে চান তখন আমরা আপনাদেরকে বিষয় সঠিক তথ্য প্রদান করব এবং কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করবেন তা আজকের এই পোস্ট থেকে জেনে নিবেন।তবে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সদ্য জন্ম গ্রহণ করার শিশু অথবা যে কোন শিশুর টিকা গার্ডের প্রয়োজন হবে এবং সেই শিশু যে জায়গায় বসবাস করছে অথবা যে ঠিকানার ভিত্তিতে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন আবেদন করতে চাচ্ছেন তার জন্য অবশ্যই বসবাসের স্থানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন করতে চান অথবা এই নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে আমরা আপনাদেরকে https://bdris.gov.bd/br/application এই লিংক ব্যবহার করার মাধ্যমে আবেদন করার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের পেজে চলে যেতে বলব। সেখানে গিয়ে আপনি কোন ঠিকানার ভিত্তিতে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে চান তা উল্লেখ করবেন এবং পরবর্তী ধাপে যাবেন। সেখানে গেলেই তথ্য নিবন্ধন করার কাজ শুরু হবে এবং যার জন্ম নিবন্ধন করবেন তার বাংলায় এবং ইংরেজিতে নামের প্রথম অংশ এবং শেষ অংশ উল্লেখ করতে হবে। এছাড়াও পিতা মাতার কততম সন্তান এবং জাতীয়তা, লিঙ্গ, ধর্ম রক্তের গ্রুপ এগুলো আপনাদেরকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
এই তথ্যগুলো প্রদান করার পরে পরবর্তী পেজে আপনারা যখন যাবেন তখন সেখানে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের পর্যন্ত এই ঠিকানাগুলো সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার পরে আবার পরবর্তী পেজে যেতে হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির তথ্যগুলো নির্দিষ্ট পেজে লিপিবদ্ধ করার পর পরবর্তী পেজে যেতে হবে এবং এভাবে তথ্যগুলো নিবন্ধন করতে হবে। এখন আপনারা পিতা মাতার তথ্যগুলো প্রদান করবেন এবং পিতা ও মাতা জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য অনুযায়ী সেই আইডি কার্ডের নাম্বার এবং তাদের নাম ও অন্যান্য তথ্য প্রদান করা লাগবে। পিতা মাতার তথ্য প্রদান করার পর আবার যখন পরবর্তী পেজে যাবেন তখন সেখানে আবেদনকারীর তথ্য প্রদান করবেন এবং আবেদনকারীর যোগাযোগের নাম্বার এর জায়গায় অবশ্যই আপনার মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করবেন।
কারণ সেই মোবাইল নাম্বারে অ্যাপ্লিকেশন আইডি আসবে এবং সেই অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিয়ে পরবর্তীতে আপনি আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারবেন। তারপরে সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে এবং বিশেষ করে টিকা কার্ড এবং জমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড করলেই আপনার আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপরেও আবেদনের সামারি দেখে যাচাই করতে হবে সেখানে কোন তথ্যগত ভুল আছে কিনা এবং তথ্যগত ভুল না থাকলে আবেদনপত্র সাবমিট করে সেটার পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে সর্বোচ্চ 15 দিনের ভেতরে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে গিয়ে জমা দিতে হবে। তাহলে আপনার আবেদনপত্র তারা বিবেচনা করে খুব সহজেই আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদের অরিজিনাল কপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সহ প্রদান করবেন।