অনলাইনে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড অনলাইনে খুব সহজে কিভাবে করবেন জেনে নিন বিস্তারিত

যারা অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য এই পোস্টে অনলাইন থেকে কিভাবে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করা যায় সেই তথ্য প্রদান করা হবে। আমরা সকলেই জানি যে বর্তমান সময়ে ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করার ক্ষেত্রে পেপার লেমিনেটিং ভার্সন এর পরিবর্তে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে যারা এলাকার ভিত্তিক স্মার্টকার্ড পেয়ে গিয়েছেন তারা খুব ভালো কাজ করেছেন এবং মনে করছেন অনলাইন থেকে যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায় সেহেতু স্মার্ট কার্ডের অরিজিনাল কপির মত করে কপি পাওয়া গেলে খুবই ভালো হয়। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে অনলাইন থেকে কিভাবে স্মার্ট কার্ডের কপি ডাউনলোড করা যায় সেটি সম্পর্কে আলোচনা করব।

জাতীয় পরিচয় পত্র প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানিক কাজে আপনি যখন ব্যক্তিগত পরিচয় প্রদান করতে যাবেন তখন জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর চাইতে আপনার থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র চাওয়া হবে এবং সেখানকার তথ্য লিপিবদ্ধ করতে বলা হবে। এক্ষেত্রে আপনারা যদি স্মার্ট কার্ড পেয়ে থাকেন তাহলে সেই তথ্য সব সময় বহন করতে পারবেন এবং চাইলে মানিব্যাগে কয়েক কপি অনুলিপি তৈরি করে রাখতে পারবেন। তবে কেউ যদি মনে করে স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ডের সফট কপি নিজেদের মোবাইলে পিডিএফ ফাইল আকারে রাখলে যে কোন সময় প্রিন্ট আউট করা যাবে তাহলে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে তারা এই তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

তবে স্মার্ট কার্ড হোক অথবা পেপার লেমিনেটিং ভার্সন হোক, ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য লিপিবদ্ধ করার সময় একই তথ্য গ্রহণ করা হয়। তবে স্মার্ট কার্ডের মত করে হুবহু কপি আপনারা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না এবং এরকম কপি ওয়েবসাইটে এ পর্যন্ত আপলোড করা হয়নি। তবে ভোটার আইডি কার্ডের পিডিএফ ফাইল যদি ডাউনলোড করতে চান তাহলে সেটার পেপার লেমিনেটিং ভার্সন ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা সম্ভব হবে। যদি পেপার লেমিনেটিং ভার্সন ডাউনলোড করার ইচ্ছা থাকে তাহলে এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন এবং যদি সেটা ডাউনলোড করতে না চান তাহলে এই পোস্ট স্কিপ করুন।

আপনি যখন স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে ডাউনলোড করতে চাইবেন তখন পেপারে লেমিনেটিং ভার্সন ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে যে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে সেটির ঠিকানা হলো
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ । এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনাদেরকে একটি এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার হাতে থাকা ভোটার আইডি কার্ডের প্রত্যেকটি তথ্য ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার, জন্ম তারিখ সংক্রান্ত তথ্য এবং ক্যাপচা কোড প্রথম পেজে পূরণ করা লাগবে।

দ্বিতীয় পেজে গিয়ে আপনাদেরকে আপনার ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা লাগবে। অর্থাৎ আপনার বিভাগের নাম থেকে শুরু করে জেলার নাম, উপজেলার নাম, থানার নাম, ইউনিয়ন পরিষদের নাম এবং ওয়ার্ড নাম্বার উল্লেখ করা লাগবে। প্রত্যেকটি তথ্য সম্পন্ন করে যখন পরবর্তী বেড়ে যাবেন তখন সেখানে যে মোবাইল নাম্বার দেখানো হবে সেই মোবাইল নাম্বার আপনারা তথ্য নিবন্ধন করার সময় প্রদান করেছিলেন। মোবাইল নাম্বার চালু থাকলে বার্তা পাঠান অপশনে ক্লিক করুন এবং চালান না থাকলে নাম্বার পরিবর্তন করুন। পরে এসএমএসে ওটিপি মেসেজ আসলে সেটি আপনারা সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটে তথ্য লিপিবদ্ধ করুন। এরপরে আপনাকে পরবর্তী পেজে যেতে হবে এবং সেখানে এনআইডি ওয়ালেট নামক একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করার কথা বলা হবে।

সেই সফটওয়্যার ডাউনলোড করে আপনারা তা ওপেন করবেন। তারপরে সেখানে যে নিয়ম নিতে রয়েছে সবগুলো ওকে বা অন বাটনে প্রেস করে সম্পন্ন করবেন। মূলত এটা একটি মুখমন্ডল সনাক্ত করার অ্যাপস। এখানের কাজ সম্পন্ন করে যখন ওয়েবসাইটে আসবেন তখন ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে যাতে পরবর্তীতে আপনি লগইন করতে পারেন। এভাবে নিজস্ব প্রোফাইলে প্রবেশ করে আপনারা ডাউনলোড নামক একটি অপশন পেয়ে যাবেন। সে ডাউনলোড অপশনে গেলে আপনাদের সামনে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডের পেপার লেমিনিটিং ভার্সন দেখানো হবে। সেটি আপনা আপনি ডাউনলোড হয়ে যাবে এবং অন্য কোন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনারা পিডিএফ ফাইল ওপেন করতে পারবেন।

যদিও আপনারা স্মার্ট কার্ডের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে এসেছেন তারপরও এখানে আপনাদেরকে পূর্বের ভার্সনের কপি কিভাবে ডাউনলোড করতে হবে তা শিখিয়ে দেওয়া হলো। মূলত ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই মোবাইলে যদি আপনারা পেপার লেমিনেটিং ভার্সন সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কাজে এটা ব্যবহার করতে পারবেন এবং এটা আপনাদের অনেক সহায়তা প্রদান করবেন। 

অনলাইনে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড

অনলাইন থেকে আপনারা যদি এনআইডি কার্ডের স্মার্ট কপি ডাউনলোড করতে চান তাহলে বলব যে আজকের এই পোষ্ট আপনারা অনুসরণ করবেন। সর্বসাধারণের জন্য অর্থাৎ যারা ইতোমধ্যে এনআইডি কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং এনআইডি কার্ড পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করবেন তা বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন।

প্রকৃতপক্ষে 18 বছর পূরণ হওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেকে এনআইডি কার্ডের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং এই আবেদনের ক্ষেত্রে আপনারা যদি এনআইডি কার্ডের অরিজিনাল কপি হাতে না পান তাহলে অনলাইনে থেকেও আপনারা এনআইডি কার্ডের অরিজিনাল মত স্মার্ট কার্ড অথবা স্মার্ট কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

তাহলে চলুন আমরা এখানে কথা না বাড়িয়ে অনলাইনে কিভাবে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে এবং এক্ষেত্রে যে সকল ধাপ রয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে মেনে চলার চেষ্টা করে। অনলাইন থেকে আপনারা যখন স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন তখন আপনাদেরকে একটি অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক হলো https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/voter-info । এই লিংক ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনারা যদি এনআইডিবিডি লিখে ইংরেজিতে সার্চ দেন তাহলে দেখা যাবে যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট চলে আসছে এবং সেখানে প্রবেশ করবেন।

অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ডের স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাদের যদি সেই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে খোলা থাকে তাহলে আপনারা নিজেদের প্রোফাইলে চলে যাবেন। তবে অধিকাংশ ব্যক্তিই প্রোফাইল খোলা থাকে না বলে তারা সেখান থেকে নতুন করে প্রোফাইল করেন এবং এই প্রোফাইল খোলার ক্ষেত্রে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করতে হবে তো আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে দেখে নিন।

যেহেতু আপনার সেখানে প্রোফাইল বা একাউন্ট খোলা নাই সেহেতু আপনাকে রেজিস্টার করুন নামক অপশনে ক্লিক করতে। সেখানে ক্লিক করলেই আপনারা পরবর্তী পেজে যেতে পারবেন এবং সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের যে নাম্বার প্রাপ্ত হয়েছেন অথবা এদের মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার পরে সাময়িক নাম্বার পেয়েছেন সেই নাম্বারটি সেখানে বসিয়ে দিন।

তারপরে নিয়ম অনুসারে আপনার জন্ম তারিখ এবং জন্ম মাস বসানোর পাশাপাশি জন্মসাল প্রদান করেন। এরপরে নিচের দেওয়া অস্পষ্ট কোড আপনারা সঠিকভাবে ঘরে বসিয়ে দিন। তারপর আপনাদের কে সাবধান করুন এ ক্লিক করতে হবে পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনার ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। হঠাৎ প্রথমে আপনার বিভাগের নাম এবং ক্রমানুসারে জেলার নাম সহ স্থানীয় ঠিকানা প্রদান করতে হবে।

এই ওয়েবসাইটে যে সকল তথ্য আপনার পূরণ করলেন সে সকল তথ্যের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট নাম্বারে এসএমএস পাঠানো হবে এবং এই এসএমএস এর ওটিপি নাম্বার আপনাদেরকে ওয়েবসাইটের ফাঁকা করে প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোনভাবে যদি আপনারা আগের নাম্বার ব্যবহার করে থাকেন অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে যে নামটি ব্যবহার করছেন তাদের সচল থাকে তাহলে সেই নাম্বারে এসএমএস নেওয়ার জন্য ওকে অপশনে ক্লিক করুন।

আর যদি সেই নাম্বার বন্ধ থাকে অথবা সেই সিম কার্ড যদি আর ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে আপনারা নির্দিষ্ট একটি নাম্বারে এসএমএস নিতে পারবেন। সেই নির্দিষ্ট ওটিপি কোড আপনার ফোনে যখন চলে আসবে তখন ফাঁকা ঘরে ওটিপি কোড বসিয়ে নিচের অপশন এ ক্লিক করবেন। তারপরে এই ওয়েবসাইটের নিয়ম অনুসারে আপনাকে একটি সফটওয়্যার প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করবে এবং এই সফটওয়্যার এর নাম হলো এনআইডি ওয়ালেট।

এনআইডি ওয়ালেট যদি আগে থেকে ডাউনলোড করা থাকে তাহলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না এবং যদি না থাকে তাহলে আপনারা সেখানে ক্লিক করে সরাসরি প্লে স্টোরে প্রবেশ করে এনআইডি ওয়ালেট ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করার পর সেখানে প্রবেশ করে যে ধরনের টার্মস এন্ড কন্ডিশন রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে পূরণ করুন এবং যখন আপনাদের সামনে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা ওপেন হবে তখন আপনারা প্রথমে ডান দিকে মুখমন্ডল ঘড়ি এবং পরবর্তীতে বামদিকে মুখমন্ডল করে সেখানে খুব সুন্দর ভাবে ছবি তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করুন।

অবশ্য সেখানে কোন দিকে মুখ ঘুরিয়ে ছবি তুলতে হবে তা বাংলায় বুঝিয়ে দেয়া হবে তাতে খুব সহজে মানুষজন বুঝতে পারে। অর্থাৎ সেই সফটওয়্যার এর নীতিমালা অনুসারে যখন আপনাদের সামনে ক্যামেরা চালু হওয়ার পর প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করতে পারবেন তখন আপনার এই ধাপ অনুসরণ করার ফলে ওকে অপশন চলে আসবে এবং সেখানে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে ফেরত চলে আসবেন। কিভাবে এনআইডি কার্ডের নাম্বার অনুযায়ী একটি প্রোফাইল যখন খুলে ফেলা হলো তখন আপনারা সেখান থেকে নিজের প্রোফাইল ব্যবহার করে নিচের দিকে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করবেন এবং অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ডের স্মার্ট কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *