স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম

স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম অনলাইন | কিভাবে স্মার্ট আইডি চেক করবেন জেনে নিন বিস্তারিত

বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের বিশেষ সুবিধার জন্য আজকে আমাদের ওয়েব সাইটে স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ভোটার আইডি কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস হওয়ার কারণে প্রত্যেকের কাছে এটা থাকতে হবে এবং জরুরী ভিত্তিতে এটা প্রদর্শন করানোর মাধ্যমে বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজ সম্পন্ন করা যাবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেশ ডিজিটালাইজড হওয়ার পর থেকে আইডি কার্ডের পেপার লেমিনেটিং ভার্সন বাদ দিয়ে স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।

স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ডের ধরন একেবারে আলাদা এবং এখানে বায়োমেট্রিক্স এর মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিশেষভাবে শনাক্ত করার একটি বিশেষ নিয়ম চালু করা হয়েছে। তাই আপনার এলাকাতে যদি এখন পর্যন্ত তথ্য নিবন্ধন করার পরেও ভোটার আইডি কার্ডের স্মার্ট কপি প্রদান করে না থাকে তাহলে এটি কোন অবস্থায় রয়েছে অথবা এটি চেক করার যে বিষয়ের ব্যবস্থা রয়েছে তার মাধ্যমে চেক করে নিন।

সাধারণত যারা ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে তথ্য নিবন্ধন করেছেন তাদের ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দেরি হয়েছে। অবশ্য এর ভেতরে অনেকে পেপার লেমিনেটিং ভার্সন পেয়ে গিয়েছেন এবং সেটা দিয়ে আপাতত কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তবে যে সকল ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে সেটা পার্মানেন্ট নয় এবং এটি সাময়িক ভোটার আইডি কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ভোটার আইডি কার্ডের মেয়াদ ছিল ২০২০ সাল পর্যন্ত। অবশেষে এই তারিখ শেষ হয়ে গেলেও অনেকেই অনলাইন থেকে এটির পেপার লেমিনেটিং ভার্সন ডাউনলোড করে নিয়ে কাজ চালাচ্ছে। তাছাড়া সেখানকার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার অপরিবর্তিত থাকবে বলে এটা দিয়ে অনেকেই হয়তো কাজ চালিয়ে নিচ্ছে।

তবে যাই হোক আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট আইডি কার্ডের কি অবস্থা অথবা স্মার্ট আইডি কার্ডের বর্তমান অবস্থা যাচাই করবেন তখন নিচের নিয়ম আপনাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনারা স্মার্ট কার্ড চেক করে নিতে পারবেন এবং কতদিন পরে এটা হাতে পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে পারবেন।

আপনার জাতীয় পরিচয় পাওয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ডের অবস্থা চেক করে নেওয়ার জন্য
http://www.nidw.gov.bd/ এই লিংক ব্যবহার করার কথা বলব। এই লিংক আপনারা গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে পেস্ট করুন এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এটি এমন একটি ওয়েবসাইট যেখান থেকে ভোটার আইডি কার্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।

যেহেতু আপনি স্মার্ট আইডি কার্ডের তথ্য যাচাই করার জন্য অথবা তথ্য চেক করার জন্য এই লিংক কপি করেছেন সেহেতু ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলে আপনাদেরকে তার ডেক্সটপ ভার্সনে দেখানো হবে বলে আপনারা অনেক কিছু হয়তো বুঝতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে স্ক্রিনের উপরে জুম ইন করে নিন এবং ওপরের বাম দিকে চলে যাবেন। সেখানে গেলেই আপনারা স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস ইংরেজিতে লেখা দেখতে পারবেন। দেরি না করে সরাসরি সেখানে ক্লিক করুন এবং আপনাদের সামনে একটি নতুন ফর্ম বা পেজ ওপেন হয়ে যাবেন। এখানে আপনাদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইনপুট করতে হবে।

তথ্য ইনপুট করার ক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার প্রদান করতে হবে অথবা ফর্মের নাম্বার প্রদান করতে হবে। এই তথ্যটি প্রদান করার পর আপনার জন্ম তারিখ লিখবেন এবং জন্ম মাসের নাম্বার উল্লেখ করবেন। এরপরে আপনাদেরকে জন্ম সাল সঠিকভাবে প্রদান করে নিচের ক্যাপচা কোড বুঝে নিতে হবে। সেটি বুঝে নিয়ে নিচের ফাঁকা ঘরে বসিয়ে দেবেন এবং বহাল করুন অপশনে ক্লিক করবেন। তাহলে পরবর্তী পেজে গিয়ে আপনাদের স্মার্ট কার্ডের তথ্য বা অবস্থা দেখিয়ে দেওয়া হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ডের তথ্য চেক করার জন্য আপনি যদি এভাবে কাজটি করেন তাহলে সেখানে উল্লেখ থাকবে আপনার স্মার্ট কার্ডের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

যেহেতু আপনার কাছে স্মার্ট কার্ডের অরিজিনাল কপি নেই এবং আপনি এটি জরুরী ভিত্তিতে সংগ্রহ করতে চাইছেন সেহেতু ওয়েবসাইটে আপনার একটি প্রোফাইল ওপেন করতে হবে। তারপরে সেখানে তথ্য সংশোধন বা তথ্য আপডেট করার ভিত্তিতে রেগুলার স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। তাহলে দ্রুত ভিত্তিতে আপনারা রেগুলার স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন এবং এক্ষেত্রে আপনাদের আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।

যাদের স্মার্ট কার্ড বিশেষভাবে প্রয়োজন তারা একমাত্র এই নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। তবে যতই গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে থাকুক না কেন আপনারা অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ডের পেপার লেমিনিটিং ভার্সনের সফট কপি পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের তথ্য জানার জন্য কমেন্ট বক্সে যেকোনো সময় আপনার কাঙ্খিত প্রশ্ন লিখে জানিয়ে দিতে পারেন।

অনলাইনে দেখে নিন আপনার স্মার্ট আইডি কার্ড

যারা ভোটার আইডি কার্ড হাতে পেয়েছেন তারা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে চেক করে নিতে পারবেন। তাছাড়া স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়মও এখানে আলোচনা করা হবে। যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেহেতু আপনারা চাইলে খুব সহজেই বর্তমানে ওয়েবসাইট ভিজিট করে নির্দিষ্ট তথ্য ইনপুট করে এটি চেক করে নিতে পারবেন।

স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম অনেকের কাছে অজানা বলে এই বিষয়টি আমরা আলোচনা করতে চলেছি এবং আপনারা যখন বুঝতে পারবেন এটা অত্যন্ত সহজ প্রক্রিয়া তখন এটা যে কাউকে শিখিয়ে দিতে পারবেন। তাছাড়া ভোটার ফরমেট তথ্যের উপরে ভিত্তি করে স্মার্ট আইডি কার্ডের তথ্য চেক করে নেওয়া যাবে এবং এটির মাধ্যমে আপনি কোন এলাকার ভোটার অথবা আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার কত সেটা জেনে নিতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড এমন একটি ডকুমেন্টস যেখানে আপনি নিজের পরিচয় প্রদান করার ভিত্তিতে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবেন। যখন আপনার 18 বছর বয়স পূর্ণ হয়ে যাবে তখন আপনাকে ভোটার তথ্য নিবন্ধন করতে বলা হবে। একটি ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি হলে আপনি যে কত ধরনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন তা নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। তারপরে আপনারা এই ভোটার আইডি কার্ড হাতে পেয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবেন এবং তখন মনে হবে নিজের ব্যক্তিগত একটা পরিচয় দেশের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।

এই ভোটার আইডি কার্ড যখন তৈরি করবেন তখন অবশ্যই আপনাদের কাজ হবে প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করা। আর প্রত্যেকটি তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট এর তথ্যের উপরে নির্ভর করে সেগুলো প্রদান করবেন। এতে করে আপনাকে পরবর্তীতে তথ্য সংশোধন করার জন্য বিভিন্ন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে হবে না। তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু ভোটার তথ্য চেক করতে চাইছেন সেহেতু আপনাকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এ সকল তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য চেক করলে আপনারা এটা বুঝতে পারবেন যে আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি হতে কত দিন সময় লাগতে পারে অথবা এটা অনলাইনে পাওয়া যাবে কিনা। যখন ভোটার ফরমের তথ্য দিয়ে আপনারা এটা চেক করে নেবেন তখন আপনাদের সামনে যে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার প্রদর্শন করানো হবে সেটা দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

তাই আপনারা যেহেতু জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করতে এসেছেন সেহেতু আপনাদেরকে বলবো যে সর্বপ্রথমে আপনাদেরকে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংক কপি করে নিতে হবে। তারপরে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে পেস্ট করবেন এবং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারলে আপনাদের সামনে যে হোমপেজ চলে আসবে সেটার নিচের দিকে চলে যাবেন।

নিচের দিকে গেলে আপনারা ভোটার তথ্য নামক একটি অপশন পেয়ে যাবেন। সেখানে আপনার স্মার্ট আইডি কার্ডের তথ্য সার্চ করতে পারবেন। যদি স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করার কথা বলেও এটা দিয়ে না থাকে তাহলে আপনারা ভোটের ফরমেট তথ্য প্রথমে প্রদান করবেন। তারপরে আপনার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত প্রত্যেকটি তথ্য ওয়েবসাইট ইনপুট করে নিজের ক্যাপচা কোড ভালো মতো বুঝে নিবেন। তারপরে ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করবেন এবং বহাল করুন অপশনে ক্লিক করবেন।

তাহলে আপনাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওয়েবসাইটে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং নাম ঠিকানা সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখানো হবে। সেই সাথে আপনি কোন ভোটার এলাকার একজন নাগরিক তা উল্লেখ করা হবে এবং আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার সেখানে উল্লেখ করা হবে। যদি ওয়েব সাইটের নিচের দিকে গিয়ে আপনারা ভোটার তথ্য নামক অপশন না পেয়ে থাকেন তাহলে উপরের ডানদিকে যে মেনু অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করলে এই অপশন পেয়ে যাবেন। তথ্য চেক করার মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয়ই তো হতে পারবেন এবং ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার সংগ্রহ করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *