হারানো আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন ফরম ডাউনলোড

হারানো আইডি কার্ড উত্তোলনের আবেদন ফরম ডাউনলোড

কারো যদি ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায় তাহলে নতুন নিয়ম অনুসরণ করে ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তবে আপনারা যদি হারানো আইডি কার্ড অনলাইন এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে চান তাহলে এটা অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন। হারানো আইডি কার্ডের উত্তোলনের জন্য যারা আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে যাচ্ছেন এবং সেটা পূরণ করে উপজেলা সার্ভার স্টেশনে বা নির্বাচন কমিশনের অফিসে জমা দিতে যাচ্ছেন তাদেরকে বলব যে বর্তমানে এই নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে না।

তাই নতুন নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলন করার জন্য আবেদন করতে হবে। সেই সাথে জরুরী ভিত্তিতে আইডি কার্ডের অনলাইন কপি আপনারা ডাউনলোড করতে পারবেন এবং সেখান থেকেই হারানো আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উদ্দেশ্যে অথবা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে রি ইস্যু করার আবেদন করতে পারবেন।

যদিও ভোটার আইডি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ভোটার আইডি কার্ডের পেছনে এটা উল্লেখ থাকে যে, আসল মালিক ব্যতীত এটি যদি কেউ পেয়ে থাকেন তাহলে পোস্ট অফিসে সেটা যেন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে কখনোই এরকমটা ঘটে না এবং সেটা ঘটলেও ব্যাতিক্রম ঘটনা হিসেবে ঘটে থাকে। তবে আপনি যখন আপনার নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং হারানো ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে চাইবেন তখন আপনাকে বলবো যে অনলাইনের মাধ্যমে রিইস্যু নামক আবেদন করা যাচ্ছে। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অথবা ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত সহায়তা পাওয়ার জন্য সব সময় অরিজিনাল কপি রাখার পাশাপাশি আপনারা বেশ কয়েক কপি অনুলিপি তৈরি করে ঘরে রেখে দেবেন।

অনলিপি তৈরি করে রাখলে যে কোন জরুরী মুহূর্তে আপনারা এটা প্রদান করতে পারবেন এবং আপনার অনুরোধের নাম্বার থেকে ভোটার আইডি কার্ডের যে সকল সুযোগ সুবিধা ওয়েবসাইট থেকে গ্রহণ করা যায় সেগুলো করতে পারবেন। তবে যাই হোক আপনার ভোটার আইডি কার্ড যদি হারিয়ে যায় তাহলে কোথায় হারিয়ে যেয়ে তা বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি জিডি করতে হবে। এক্ষেত্রে থানায় জিডির কপি জমা দিবেন এবং তারা আপনাদেরকে সিল সহকারে যে কাগজটি ফেরত দিবে সেটা নিয়ে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আপনারা যারা জেনারেল ডায়েরী করা থেকে বিরত থাকতে চান তারা আবেদনের সময় নষ্ট হয়ে গেছে বলে আবেদন করতে পারেন।

হারানো ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের জন্য যে ওয়েবসাইট আপনাদেরকে এই সুবিধা প্রদান করবে সেই ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলো
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ । এখানে প্রবেশ করে আপনারা আইডি কার্ড উত্তোলন করার অথবা আইডি কার্ড সংগ্রহ করার তেমন কোন অপশন খুঁজে পাবেন না। আপনাকে যে নিয়ম অনুসরণ করতে হবে সেটি আপনাদেরকে এখানে জানিয়ে দেবো। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে আপনারা এখানে প্রবেশ করে একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন।

যদি আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করা থাকে তাহলে নতুন করে করার প্রয়োজন নেই। তবে যাই হোক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে আপনি যখন আপনার বিস্তারিত প্রোফাইলে প্রবেশ করতে পারবেন তখন সেখান থেকে হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অথবা সংগ্রহ করার জন্য এই ইস্যু করার আবেদনের প্রসেস অনুসরণ করতে পারবেন।

আপনি যখন রিইস্যু করার জন্য আবেদন করতে চাইবেন তখন আপনাকে কি ধরনের আবেদন করতে চান তা নির্বাচন করার কথা বলবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি জরুরী ভিত্তিতে আপনার আইডি কার্ড পেতে চান তাহলে আপনাকে জরুরি আবেদন করতে হবে এবং সাধারণ আবেদন করতে চাইলে সাধারণ আবেদন করতে পারবেন। সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে খরচ মাত্র ২৩০ টাকা হবে এবং জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে খরচ ৫০০ এর অধিক হবে। তবে যাই হোক সেটি আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং আবেদন করার যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো এখান থেকে অনুসরণ করুন।

আপনি যখন হারানো ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করতে চাচ্ছেন তখন আপনাকে বলব যে, আপনি যদি হারিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন তাহলে আপনাকে জিডির কপি ওয়েবসাইটে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। যদি জিডির বিষয়টি এড়িয়ে চলতে চান তাহলে আপনারা এড়িয়ে চলতে পারেন এবং এক্ষেত্রে আবেদনের সময় নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে আবেদন করবেন। কারণ নষ্ট হয়ে গেছে এটি উল্লেখ করে আবেদন করলে আপনাদেরকে জিডির কপি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে না।

তাছাড়া জিডির কপি দিয়ে কাজ করলে আহামরি কোন ঝামেলা হবে না বলে আপনারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। তারপরে আবেদনের একটি পর্যায়ে আপনাকে পেমেন্ট করতে হবে এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্য নিয়ে আপনারা নির্বাচন কমিশনের যে নির্দিষ্ট নাম্বার রয়েছে সেখানে গিয়ে পেমেন্টের নিয়ম গুলো অনুসরণ করবেন। আবেদন ভিত্তিতে পেমেন্ট করে আপনারা ওয়েব সাইটে এসে পেজটি রিফ্রেস করলে টাকা ডিপোজিট হয়ে গেছে সেটা দেখতে পারবেন।

ট্রানজেকশন এর এই বিষয়গুলো সম্পন্ন করার পরে আপনার ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রমাণাদি উল্লেখ করতে হবে এবং সেগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। বিশেষ করে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং মাধ্যমিক পাশের সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য যে সকল তথ্য আপলোড করা প্রয়োজন সেগুলো করবেন।

এভাবে আপনার আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে আবেদনের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিবেন এবং সেটা নিয়ে উপজেলা সার্ভার স্টেশনে গিয়ে যখন জমা দিবেন তখন আপনাদের থেকে কিছুদিন সময় গ্রহণ করা হবে। তারপরে একটা সময় আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়ে যাবে এবং সেটা দিয়ে আপনারা খুব সহজেই আপনার দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *